হবিগঞ্জের লাখাইয়ে চাঞ্চল্যকর শিশু ধর্ষণের ঘটনা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছে বৃদ্ধ জহুর আলী (৮০)।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে হবিগঞ্জ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাসিস্ট্রেট তাহমিনা বেগমের আদালতে দীর্ঘ একঘন্টা ব্যাপী স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে সে ধর্ষণের ঘটনার লোমহর্ষক বর্ণনা দেয়। পরে সন্ধ্যায় পুলিশ তাকে কারাগারে প্রেরণ করে।
এরআগে শুক্রবার ভোর রাতে লাখাই থানা পুলিশ হবিগঞ্জ সদর উপজেলার রিচি গ্রাম থেকে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে।
ধর্ষক জহুর আলী (৮০) ওরফে জোরা মিয়া লাখাই উপজেলার ভাদিকারা গ্রামের মৃত আলী আকবরের চেলে।
আদালতকে সে জানায়, বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে ভাদিকারা গ্রামের একটি ধানের চাতালে একা পেয়ে ভাদিকারা আদর্শ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে (১১) ধর্ষণ করে সে। এ সময় ওই শিশুর চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে জহুর আলীকে হাতেনাতে আটক করে উত্তম-মধ্যম দিয়ে বামৈ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। একপর্যায়ে ধর্ষক জহুর আলী সেখান থেকে পালিয়ে যায়।
এদিকে, মুমূর্ষ অবস্থায় রাত সাড়ে ১১টার দিকে ওই ছাত্রীকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে লাখাই থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং অভিযুক্ত বৃদ্ধকে আটক করতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়। এক পর্যায়ে ভোর রাতে সদর উপজেলার রিচি গ্রামে তাঁর (ধর্ষক বৃদ্ধ) ছেলের শ্বশুর বাড়ি থেকে তাকে আটক করে।
এ ব্যপারে লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমরান হোসেন জানান, অভিযুক্ত বৃদ্ধ জহুর আলী আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দী দিয়েছে। পরে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। তাছাড়া শিশুটির যেন উন্নত চিকিৎসা হয় সেদিকে খেয়াল রাখছে প্রশাসন।