নিজস্ব প্রতিনিধি : বাঙালি জাতির অসাম্প্রদায়িক চেতনা সব ধর্মের মানুষের মধ্যে সৌহার্দ্যের সেতুবন্ধ হিসেবে কাজ করে। যে কারণে ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে সবাই ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। অশুভ শক্তি বারবার এই চেতনা বিনাশের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে। বাংলাদেশের সফল প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার স্লোগানকে সামনে রেখে দেশ পরিচালনা করে যাচ্ছেন। যার কারণে সব ধর্মের মানুষই যার যার ধর্ম শান্তিপূর্ণভাবে পালন করতে পারছেন।
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত সদর উপজেলার সকল পূজামন্ডপ পরিদর্শন এবং বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন হবিগঞ্জ সদর-লাখাই আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এডভোকেট মোঃ আবু জাহির।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার মসজিদ-মন্দির, মাদ্রাসার উন্নয়নে অনেক প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। আর এ কারণেই সকল ধর্মের মানুষই জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ভালবাসে। কিন্তু পাকিস্তানের দূষররা বেগম জিয়ার নেতৃত্বে দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি করতে লিপ্ত রয়েছে। তাদের থেকে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।
এমপি আবু জাহির বলেন, বর্তমান সরকার সন্ত্রাসমুক্ত, জঙ্গিবাদমুক্ত বাংলাদেশ গঠনের মধ্য দিয়ে দেশের শান্তিশৃঙ্খলা অটুট রেখেছে।
বহির্বিশ্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গুরুত্ব তুলে ধরে সংসদ সদস্য বলেন, তিনি কেবল বাংলাদেশের নেতা নন, বিশ্বের নেতৃত্বদানকারী নেতা। তিনি চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ অ্যাওয়ার্ডসহ ২৮টি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ করেছেন।
পূজা মন্ডপ পরিদর্শনকালে সরকারি এবং সংসদ সদস্যের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে প্রতিটি মন্ডপে সহায়তা প্রদান করায় সকলেই ধন্যবাদ জানান এবং আগামী নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দেয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
এ সময় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এটিএম আজহারুল ইসলাম, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য আব্দুর রশিদ তালুকদার ইকবাল, সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য আব্দুল মুকিদ, লস্করপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান হিরো, নিজামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাজ উদ্দিন আহমেদ তাজ, সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল তালুকদার, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শেখ সেবুল আহমেদসহ জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ এবং স্ব স্ব ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ স্থানীয় মুরুব্বীয়ান।
এর আগে এমপি আবু জাহির গঙ্গানগর জননী সংঘের নাট মন্দির নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন।