নিজস্ব প্রতিনিধি : হবিগঞ্জ চুনারুঘাট উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুস ছামাদের বিরুদ্ধে উপজেলার অসহায় ও হতদরিদ্র মুক্তিযোদ্ধাদের টাকা দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
এ নিয়ে উপজেলা জুড়ে নানা আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে। জানা যায়, উপজেলার মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে চুনারুঘাট মুক্তিযোদ্ধা ভবন মার্কেটের ২০১০ থেকে ২০১৭ সালের জুলাই পর্যন্ত ২০ লাখ ৪৪ হাজার টাকা দোকানের ভাড়া ও জামানত বাবদ আত্মসাত করেছেন সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুস ছামাদ। ১৯৮৭ সালে এরশাদ সরকারের আমলে মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় তিনি তাঁর নাম অন্তর্ভুক্ত করেন।
রাজনৈতিকভাবে প্রভাব বিস্তার করে ২০১০ সালে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচনে তালিকাবলে নির্বাচন করে কমান্ডার নির্বাচিত হন। নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর থেকে তিনি বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনিয়মের সাথে জড়িয়ে পড়েন। ২০১২ সালে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক মুক্তিযোদ্ধা নামের তালিকা অনলাইনে ফরম পূরণ করার সুবাদে প্রায় ১৬৩ জনের কাছ থেকে বিপুল পরিমান অর্থ হাতিয়ে নেন। তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা থেকে অবৈধভাবে প্রায় লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেন। ২০১৬ সাল থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের ঋন দেয়ার ব্যবস্থা করে সরকার।
চুনারুঘাট সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের আওতায় ওই কমান্ডার ঋণ গ্রহণকারীদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেন।
উল্লেখ্য যে,আব্দুস ছামাদ মুক্তিযোদ্ধের সময় কোন প্রকার ট্রেনিং করেন নাই এবং মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ভারতের কোন তালিকায় তার নাম নাই। ২০১৭ সালে যাচাই বাচাইয়ে মুক্তযোদ্ধা হিসেবে তার কোন প্রমাণ দেখাতে পারেননি মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাচাই কমিটির নিকট।
বিগত ২০১৮ সালে চুনারুঘাট উপজেলার দুর্নীতিবাজ সাবেক কমান্ডার আব্দুস ছামাদের বিরুদ্ধে প্রশাসক ও জেলা প্রশাসক,জেলা ইউনিট কমান্ড মুক্তিযোদ্ধা সংসদ হবিগঞ্জ বরাবরে চুনারুঘাটের প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে আব্দুল কাইয়ূম আজাদ,রমিজ মিয়া,নমীর খান, হাজী আরব আলী ও ল্যা. কর্পো.আব্দুল হক অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগপত্রের অনুলিপি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ বিভিন্ন দপ্তরে প্রেরণ করা হয়।