স্টাফ রিপোর্টার : চুনারুঘাটে ইটভাটায় সন্ত্রাসীরা হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট করেছে এমন অভিযোগ উঠেছে। এসময় সন্ত্রাসীদের হামলায় ওই ভাটার মালিক সহ ৬জন আহত হয়েছেন।
গত শনিবার বিকেলে চুনারুঘাট উপজেলার উবাহাটা ইউনিয়নের শ্রীরামপুর নামক স্থানে অবস্থিত নিউ সোহাগ ব্রিকস ফিল্ডে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন বিকেলে আচমকা আব্দুল আওয়াল সহ একদল লাঠিয়াল ওই ইটভাটার মালিক ও কর্মচারীর উপর হামলা চালায়। এসময় অফিস কক্ষের আসবাবপত্র ভাংচুর ও ইটভাটার মালিকের প্রাইভেটকার ভেঙ্গে ঘুরিয়ে দেয় দাঙ্গবাজরা। তাছাড়াও নগদ অর্থ-কড়ি লুটপাট করেছে সন্ত্রাসীরা, বিশ্বস্ত সূত্রে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। হামলায় কবির মিয়া, জাকারিয়া তালুকদার, মোশাররফ হোসেন, ইকবাল মিয়া সহ ৬জন গুরুতর আহত হন। স্থানীয় জনতা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
সূত্র জানায়, ইটভাটার আগের মালিক আব্দুল আওয়াল। সে ভাটাটি বিক্রি করে বি-বাড়িয়া জেলার কসবা থানার মীরতলা গ্রামের মোঃ কবির হোসেনের কাছে। পরক্ষণে সবকিছু ঠিকঠাকভাবে চলতে থাকলেও সহসা তাদের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়। এই বিরোধ থেকেই ওই দিন আওয়াল মিয়া সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে তাদের উপর হামলা চালায়।
এব্যাপারে চুনারুঘাট থানায় কবির মিয়া বাদী হয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সাবেক মালিক আব্দুল আউয়াল এফিডেভিটের মাধ্যমে ব্রিকস ফিল্ডটি বিক্রয় করেন। ভাটার নামে কোনো ব্যাংক লোন বা দেনা-পাওনা নাই, এ মর্মে নগদ টাকা পেয়ে বিক্রি করেছেন, এফিডেভিটে এমনটাই উল্লেখ রয়েছে।কিন্তু ব্যবসা পরিচালনা করার কিছুদিন পরে কবির মিয়া জানতে পারেন, ব্রিকস ফিল্ডের নামে মিউচুয়্যাল ট্রাস্ট ব্যাংক থেকে ৪০লক্ষ টাকা লোন তুলেছিলেন আউয়াল মিয়া। টাকা পরিশোধ করতে ব্যাংক যখন তাগিদ দেয়, তখন লোন উত্তোলনকারী আউয়াল মিয়া অসম্মতি প্রকাশ করেন। এনিয়ে সালিশ বৈঠক হয়। ঈদুল ফিতরের পর এ বিষয়ের সুরাহা হবে বলে সালিশে সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু ঈদের পূর্বে এমন আতর্কিত হামলা ও লুটপাটের কারণ বর্তমান মালিক পক্ষের কাছে ধোয়াশা।
আরো জানা যায়, ক্যাশ থেকে ইট বিক্রির নগদ ১০লাখ টাকা লুটপাট সহ প্রায় ৫০লাখ টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে কবির মিয়ার।
এব্যাপারে চুনারুঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ নাজমুল হক জানান, “আমরা অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলমান রয়েছে। ঘটনার সত্যতা যাচাই করে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করবো।”