নিজস্ব প্রতিনিধি : হবিগঞ্জ শহরের উমেদনগরে ফরিদা পারভীন (২৮) নামের দুই সন্তানের জননীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সে ওই এলাকার ধান চাউল ব্যবসায়ী আব্দুল্লাহ মামুনের স্ত্রী।
শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
জানা যায়, প্রায় ৫ বছর আগে মৌলভীবাজার জেলার শেরপুর উপজেলার আলাপুর গ্রামের আলহাজ্ব সামছুদ্দিনের কন্যা ফরিদা পারভীনকে বিয়ে দেয়া হয় তারই খালাতো ভাই মামুনের সাথে। বিয়ের পর তাদের কোলজুড়ে দুই সন্তানের জন্ম হয়। স্বামীর বাড়িতে থাকাবস্থায় ফরিদা স্নাতকোত্তর শেষ করে এবং চাকুরীর চেষ্টা করে আসছে। তবে সংসারে কোন অভাব অনটন ছিল না। সম্প্রতি ফরিদার পিতা-মাতা হজ্বে যান। শনিবার বিকালে তাদের দেশে ফেরার কথা ছিল।
শুক্রবার সকালে পারভীন তার সন্তানদের নিয়ে পিত্রালয়ে যাবার জন্য তৈরি হয়। এ সময় তার বাচ্চার ক্ষুধা পেলে তার স্বামী মামুন একটি রেস্টুরেন্ট থেকে রুটি আনতে যায়। ১৫ মিনিট পর বাড়ি এসে মামুন দেখতে পায় রুমের দরজা বন্ধ। অনেক ডাকাডাকির পর সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙ্গে দেখতে পায় ঘরের ফ্যানের সাথে ওড়নায় পেচানো রয়েছে ফরিদার ঝুলন্ত দেহ।
এ সময় মামুন চিৎকার করলে স্থানীয় লোকজন লাশ নামিয়ে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে সকাল ৯টার দিকে চিকিৎসক ডাক্তার ত্রিলোক চাকমা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে ফরিদার ভাই, চাচা, চাচীসহ অন্যান্য আত্মীয় স্বজন হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে ছুটে আসেন। সদর থানার এসআই আসাদুজ্জামান লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। তবে ফরিদার পরিবারের ইচ্ছা ছিল ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ নিয়ে যাবার। কিন্তু বিকালে ময়নাতদন্ত শেষে ফরিদার ভাইয়ের জিম্মায় লাশ হস্তান্তর করা হয়।
এ ব্যাপারে এসআই আসাদুজ্জামান জানান, প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা বলে মনে হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট ছাড়া এ মুহুর্তে কিছু বলা যাবে না বলে তিনি জানান। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। কেউ তার মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না।