নিজস্ব প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দেড় ঘন্টা ব্যাপি রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ৫০ জন আহত হয়েছেন। উভয় পক্ষের গুরুতর আহত ৩০ জনকে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে, পুলিশ বলছে পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে।
শনিবার বিকাল ৫ টার দিকে উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের বালিয়াঘাট নতুন বাজারের সড়ক পাড়াতে এ সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে। সংবাদ পেয়ে সন্ধার ৬ টার দিকে তাহিরপুর থানার ওসি মোহাম্মদ আতিকুর রহমানের নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশের একটি টিম এসে পরিস্থিতি শান্ত করে।
পুলিশ ও স্হানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের গোলকপুর গ্রামের বর্তমান ওয়ার্ড সদস্য শফিকুল ইসলাম ও একই গ্রামের ডা. গোলামনুরের ছেলে আবুল খায়ের এর মধ্যে দীর্ঘদিন আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছিল। শুক্রবার রাতে বালিয়াঘাট নতুন বাজারে আবুল খায়ের শফিকুল ইসলামকে গালাগালি করে নিজ বাড়িতে চলে যান। শনিবার দুপুর ১২টার দিকে আবুল খায়ের নিজ বাড়ি থেকে বালিয়াঘাট নতুন বাজারে আসার পথে শফিকুল ইসলামের লোকজন আবুল খায়েরকে বেদড়ক মারপিট করেন। বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে শফিকুল ইসলামের পক্ষের সুহেল মিয়া বাজারে আসলে আবুল খায়ের এর লোকজন তাকে মারপিট করে। একপর্যায়ে বিকাল ৫ টার দিকে দুই পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে শফিকুল ইসলামের পক্ষের আহত হন সেনাজুল (৩৫),হৃদয় (২৫), কাবিল মিয়া (৪০),কিবির মিয়া (২২), শালমান মিয়া (৩০),দুলাল মিয়া (২৫), আলফাজ উদ্দিন (৩০), সিরাজুল ইসলাম (২৫), সুহেল মিয়া (৪০),কামরুল (৪৫),ফকির আলম (৪৫),মেহেদী (২৩), নবী হোসেন (২০), জাকিল মিয়া (৪৫), হেলাল মিয়া (২৫) এবং আবুল খায়ের এর পক্ষে্র আহত হন আবুল খায়ের (৪৫), উকিল মিয়া (৪০),সেলিম মিয়া (৩৫), সবুজ মিয়া (৩৫), পারভেজ মিয়া (২২), সাজুল মিয়া (৪৫), সাদিকুর (৩০), দিলসাদ মিয়া (৩৫), নবী হোসেন (২০), রফিক মিয়া (৩৫), হাবিবুল (৩০) সাহিবুল (৩৩), রফিক (৪০)।
এ ব্যাপারে শফিকুল ইসলাম জানান, আবুল খায়ের শুক্রবার রাতে মদ খেয়ে আমাকে অকারনে গালিগালাজ করেন। বিষয়টি আমার ভাই ভাতিজা শুনতে পেয়ে শনিবার সকালে খায়েরের কাছ কারণ জানতে চাইলে সে উত্তর না দিয়ে অন্য গ্রামের লোকজন দিয়ে আমার বাড়িতে হামলা করিয়েছেন। বিষয়টি অস্বীকার করে আবুল খায়ের বলেন, আমি শুক্রবার রাতে শফিকুল ইসলামকে গালিগালাজ করিনি। শনিবার দুপুরে বাজারে আসার পথে তার লোকজন রাস্তায় আটকিয়ে বিনা কারনে আমাকে মারপিট করে এবং দুই লাখ টাকা, মোবাইল ও ডেভিড কার্ড নিয়ে যায়।
তাহিরপুর থানার ওসি মো. আতিকুর রহমান বলেন, সংবাদ পাওয়ার মাত্রই ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করি এবং আহতদের চিকিৎসার জন্য উপজেলা সদর হাসপাতালে প্রেরন করি। তিনি বলেন, পরিস্থিতি এখন শান্ত আছে এবং এখনও থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি।