নিজস্ব প্রতিনিধি : হবিগঞ্জের মাধবপুরে অটোরিকশার যাত্রী উঠানো নিয়ে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে দুই দফা সংঘর্ষে ইউপি সদস্যসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহতদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (০৩ অক্টোবর) সকাল ১০টায় সুলতানপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় প্রতিপক্ষের হামলায় বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়।
জানা যায়, সোমবার বিকালে উপজেলার আদাঐর ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মিয়াব আলীর ছেলে অটোরিকশা চালক সোহেলের সঙ্গে বহরা ইউনিয়নের দিঘিরপাড় এলাকার কয়েকজন অটোরিকশা (সিএনজি) চালকের ঝগড়া হয়। এ সময় তারা সোহেলকে মারপিট করে। ওইদিন বিকালে দিঘিরপাড় এলাকার একজন অটোরিকশা চালক সুলতাপুর এলে সোহেলের লোকজন তাকে আটক করে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে দিঘিরপাড় গ্রামের লোকজনদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। দিঘিরপাড় গ্রামের লোকজন সুলতানপুর গ্রামে চলে সুলতানপুর গ্রামের লোকজন বাধা দেয় এবং উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে মাধবপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার এসএম রাজু আহামেদের নেতৃত্বে বিপুলসংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
এরই জের ধরে দিঘিরপাড় ও ভাঙ্গারপাড় গ্রামের লোকজন মঙ্গলবার দুপুরে লাটিসোটা নিয়ে সুলতানপুর গ্রামে চলে আসে। এ সময় সুলতাপুর গ্রামের লোকজনদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। এতে ইউপি সদস্য আবু মিয়া (৪৫), আব্দুল আউয়াল (৩৫), আব্দুর রউফ (৩০)-সহ ২০ জন আহত হন। গুরুতর আহত অবস্থায় ইউপি সদস্য আবু মিয়াকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আধুনিক হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে মাধবপুর থানা ও মনতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের বিপুলসংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
মনতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ (এসআই) কামরুল হাসান জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে শর্ট গানের ১৬ রাউন্ড রাবার বুলেট ছোড়া হয়েছে।
মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোকতাদির হোসেন জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।