নিজস্ব প্রতিনিধি : শায়েস্তাগঞ্জ নতুন ব্রিজ সংলগ্ন নিজ বাসার ১ ভাড়াটিয়ার পঞ্চম শ্রেণী পড়ুয়া মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছে ওই বাসার মালিক আব্দুল কাইয়ুম (৬০)। ঘটনাটি ঘটেছে ১ অক্টোবর রাত ৯ টায়।
ভিকটিমের মা জানান- পিতৃহীন মেয়েকে বাসায় একা রেখে তাকে শায়েস্তাগঞ্জ নতুন ব্রিজে চায়ের দোকান চালাতে হয়।
ঘটনার দিন রাতে তিনি তার চায়ের দোকানে ছিলেন। বাসায় অনেক লোক জড়ো হয়েছে এমন সংবাদে তিনি বাসায় গেলে জানতে পারেন ওই বাসার মালিক আব্দুল কাইয়ুম তার মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছে। ভিকটিমের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আব্দুল কাইয়ুম ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। আব্দুল কাইয়ুম চুনারুঘাট উপজেলার উবাহাটা শিমুলতলী গ্রামের মৃত শিশু মিয়ার পুত্র।
স্থানীয় কয়েকজন মোড়ল বিষয়টি নিষ্পত্তি করবেন বলে জায়েদা খাতুনকে মামলা-মোকদ্দমা করতে দেননি। উল্টো তারা তাকে কিছুটা ভয় ভীতিও দেখান।
৩ অক্টোবর রাতে জনৈক মুরুব্বী তার কাছে ১০ হাজার টাকা নিয়ে এসে বিষয়টি এখানেই শেষ করার প্রস্তাব দিলে তিনি তাতে রাজি হননি।
পরদিন সকালে তিনি চুনারুঘাট থানায় অভিযোগ করতে আসলে উবাহাটা ইউনিয়নের বিট অফিসার এস আই রাজন দেব এর কাছে বিষয়টি মৌখিকভাবে উপস্থাপন করেন। রাজন দেব মা মেয়ের বক্তব্য নোট করে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বাস দিলে তারা বাড়িতে চলে যান।
ভূক্তভোগীর বলেন- ”যে আব্দুল কাইয়ুমকে তিনি নানা বলে ডাকতেন এবং উনার মেয়ে যাকে বড় আব্বা বলে ডাকত তার কাছ থেকে এমনটা তিনি কোনদিনও আশা করেননি।” তিনি তার শিশুকন্যাকে ধর্ষণের চেষ্টাকারীর উপযুক্ত বিচার চান।
ভিকটিম জানায়- আব্দুল কাইয়ুম প্রায়ই তাকে আজেবাজে কথা বলতো। যা লজ্জায় সে কোনদিন কারো কাছে প্রকাশ করেনি। সে আব্দুল কাইয়ুমকে আপন বাবার মত দেখতো।
এ ব্যাপারে চুনারুঘাট থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা চম্পক দাম বলেন- ”বিষয়টি নিয়ে পুলিশ ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে।
ঘটনার সত্যতা পেলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”