“কৃষি বিভাগের সঠিক পরামর্শে ফসলের ক্ষতি পুষানো সম্ভব”- সচেতন সমাজ
রায়হান আহমেদ : “মাঘের সাথে মেঘের দেখা” গ্রামীণ জনপদের এ আঞ্চলিক প্রবাদের বাস্তব রূপ ধারণ করে চুনারুঘাটে অসময়ে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়েছে। বুধবার বিকেল থেকে সন্ধ্যার পর পর্যন্ত মুষলধারে বৃষ্টি পড়েছে। আর এই অসময়ের বৃষ্টিতে বিভিন্ন রকমের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। এতে কৃষকদের বড় ধরণের লোকসান হবে, খোঁজ নিয়ে এমনটাই ধারণা করা হচ্ছে।
প্রকৃতির এমন আচরণে চুনারুঘাট উপজেলার কৃষকের মাথায় হাত। অকাল বৃষ্টিতে বিভিন্ন রকমের সবজি চাষিরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়- অসময়ের বৃষ্টিতে বিশেষ করে আলুর ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও বাঁধাকপি, ফুলকপি, ধন্যাপাতা, টমেটো সহ বিভিন্ন রকমের সবজি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এবছর চুনারুঘাটে সরকারি প্রণোদনায় পেঁয়াজ চাষ শুরু করেছেন অনেকেই। অকাল বৃষ্টিতে এ ফসলেরও ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যেসব খেতের সবজি এখনো ভালো রয়েছে, তা রক্ষায় দিনভর প্রচেষ্টা চালিয়েছেন কৃষকেরা। তবে যদি আরো বৃষ্টি হয়, তাহলে আরো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে জানিয়েছেন তারা।
শ্রীকুটা গ্রামের কৃষক আইয়ুব আলী বলেন, “পারিবারিক চাহিদা পূরণ করে লাভের আশায় আমি শীতের সবজি চাষ করেছি। কিন্তু এ বৃষ্টি হওয়ার কারণে আমার চাষকৃত আলু, বাঁধাকপি, ধন্যাপাতা প্রায় নষ্ট হয়ে গেছে। লাভ তো দূরের কথা, এখন লোকসান গুনা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।”
কৃষক মনু মিয়া জানান, আমাদের সঠিক পরামর্শ দেবেন, এমন লোক পাই না। ফলে নিজের মতো করে কোনোরকম চাষাবাদ চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু অসময়ের এই বৃষ্টিতে ফসলের বেশ ক্ষতি হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহিদুল ইসলাম বলেন, “ক্ষতি এখনো হয়নি। ক্ষতি এড়াতে সমস্যা চিহ্নিত করে সঠিক পরামর্শ আমরা প্রদান করবো। তবে এ বৃষ্টিতে সরিষা, গম, সূর্যমুখী ফসলের জন্য ভালো হয়েছে। কৃষকরা যাতে ক্ষতির সম্মুখীন না হন, এদিকে আমাদের নজর থাকবে।”
এদিকে সচেতন সমাজ মনে করছেন, কৃষি বিভাগের সঠিক পরামর্শে কৃষকের ফসলের ক্ষতি পুষানো সম্ভব।