রায়হান আহমেদ : চৈত্রের মেঘে ও রুদ্র দিনের পরিসমাপ্তি শেষে ১৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবারে বাংলার ঘরে ঘরে এসেছে পহেলা বৈশাখ। বাঙালির জীবনের সবচেয়ে আনন্দের এবং মহিমান্বিত ক্ষণ। হাজারও বছরের ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় পয়লা বৈশাখে বাঙালি হারিয়ে যায় বাঁধভাঙা উল্লাসে। উৎসব আর উচ্ছ্বাসে ভরে যায় বাংলার মাঠ-ঘাট-প্রান্তর।
পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে চুনারুঘাট উপজেলার পীরের বাজার নামক স্থানে শুক্রবার দিনব্যাপী জমে উঠে ঐতিহ্যবাহী শতবর্ষী মেলা (বান্নী)। বান্নীতে যেন কেউ নাশকতা সৃষ্টি করতে না পারে, এজন্য চুনারুঘাট উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসন নেন বিশেষ ব্যবস্থা।
ওই দিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলে মেলার আমেজ। সিলেট বিভাগ ও হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দর্শনার্থীরা আসেন মেলায়। তবে রমজান মাস হওয়ায় অন্যান্য বছরের তুলনায় এবারের মেলায় দর্শানার্থীর সংখ্যা খানিকটা কম।
করোনার কারণে গত দুই বছর এ ঐতিহ্যবাহী বান্নী অনুষ্ঠিত হয়নি। তাই এ বছর রমজান হওয়া সত্বেও শতবর্ষী এ ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে বান্নীর আয়োজন করে কর্তৃপক্ষ।
এ মেলার প্রধান আকর্ষণ হলো, গৃহস্থালির নানান সরঞ্জাম। এছাড়াও তুলা, মাছ মারার সরঞ্জাম, রান্না ঘরের সরঞ্জাম, বিভিন্ন কসমেটিকস, ছোট বাচ্চাদের খেলনা সহ নানান জিনিসপত্র মেলায় পাওয়া যায়।
চুনারুঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ আলী আশরাফ জানান, এ মেলায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে চুনারুঘাট পুলিশ দিনব্যাপী এক্টিভ ছিলো। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে চুনারুঘাটের ঐতিহ্যবাহী এ মেলা।