চুনারুঘাট প্রতিনিধি : চুনারুঘাট উপজেলার শানখলা ইউনিয়নের সুলতানপুর গ্রামে একটি ব্রীজের অভাবে হাজার হাজার মানুষের কষ্টের অন্ত ছিল না। তবুও দীর্ঘদিন ধরে কেউ সেখানে একটি ব্রীজ নির্মাণে সঠিক কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় সাধারণের দূর্ভোগ দিনকে দিন বেড়েই চলছিল। সাধারণ মানুষের ভোগান্তি দূর করতে উপজেলার সুলতানপুর গ্রামে ছড়ার উপর সেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে একটি কাঠের ব্রিজ নিমার্ণ করা হয়েছে।
শনিবার (৬ জানুয়ারি) দিনব্যাপী স্থানীয় লোকজনদের নিয়ে নিজ উদ্যোগ, শ্রম ও অর্থায়নে ব্রিজটি একদিনের মধ্যেই নির্মাণ করে দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর, কালের জনপ্রিয় নেতা ও হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের নির্বাহী সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার সুলতানপুর গ্রামে ছড়ার পানিতে ভিজে স্থানীয় চা-শ্রমিকসহ প্রতিদিন প্রায় ৮/১০টি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ পারাপার হয়। এছাড়াও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ছড়ার পানিতে ভিজে পারাপার হয়। শিক্ষার্থীরা স্কুল-কলেজে যাতায়াত করতে বাড়তি দূর্ভোগ পোহাতে হয়। রাজনৈতিক নেতারা নির্বাচন আসলেই ব্রিজ করে দিবেন বলে আশ্বাস দিলেও তা রয়ে যায় আশার বানী হয়ে। জনসাধারণের ভোগান্তি দূর করতে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের নিঃস্বার্থ উদ্যোগ স্থানীয়দের স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে ভূমিকা নিয়েছে। ব্রিজ নির্মাণ করার পর চলাচলে সুবিধে হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান। চা-বাগান অধ্যূষিত এলাকার মানুষের পারাপারে ছড়াটির উপর দীর্ঘ দিন যাবত ব্রিজ না থাকায় লোকজন সীমাশূণ্য কষ্টে দিন-যাপন করছিল। ব্রীজ নির্মাণ হওয়ায় স্থানীয় জনতাসহ চা-বাগানের বসবাসরত শ্রমিকদের মাঝে ব্যাপক আনন্দ-উদ্দীপনা দেখা গেছে।
ব্রিজ নির্মাণকাজে উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম চৌধুরী এখলাছ, সাইফুল ইসলাম চৌধুরী লিটন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শাহিন মিয়া, চুনারুঘাট উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ন-আহ্বায়ক সোহাগ মিয়া, পৌর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সম্রাট মিয়া, উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য জুনাইদ মিয়াসহ নেতাকর্মীরা।
এ ব্যাপারে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, এই দেশ আমাদের বাংলাদেশ। এই দেশের মানুষের কষ্ট আমাদের সবার কষ্ট। তাই আমি মনে করি এই কষ্ট আমাদেরই লাগব করতে হবে। আমরা যারা সফল ব্যক্তি আছি তারা যদি ইচ্ছা করি, তবে জন্মস্থানকে অনেক এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবো। সেচ্ছাশ্রমই কষ্ট দূর করার একমাত্র উপায়।
প্রসঙ্গত, তিনি ইতোমধ্যে উপজেলার ২৫টি ঝুঁকিপূর্ণ রাস্তার সংস্কার কাজ ও তিনটি কাঠের ব্রিজ নির্মাণ সম্পন্ন করেন।