নিজস্ব প্রতিনিধি : হবিগঞ্জ নাগরিক কমিটির উদ্যোগে খোয়াই নদীর ড্রেজিং ও স্থায়ী সমস্যা সমাধানের লক্ষে এক মতিবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ মতিবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
হবিগঞ্জ নাগরিক কমিটির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট চৌধুরী আব্দুল হাই’র সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারী আব্দুল আউয়াল তালুকদারের পরিচালনায় মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক (উপ-সচিব) সফিউল আলম।
মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট বিভাগের প্রাক্তন বিভাগীয় কমিশনার মোঃ ফজলুর রহমান, সরকারি বৃন্দাবন কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ প্রফেসর ইকরামুল ওয়াদুদ, প্রাক্তন অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ আব্দুল্লাহ, সরকারি মহিলা কলেজের প্রাক্তন জাহেরা খাতুন, হবিগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি গোলাম মর্তুজা রফিক, সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মনসুর উদ্দিন আহমেদ ইকবাল, অ্যাডভোকেট রুহুল হাসান শরীফ, ধর্মঘর কলেজের অধ্যক্ষ আলী আজগর, প্রফেসর আব্দুস জাহের, বিশিষ্ট কবি ও সাহিত্যিক তাহমিনা বেগম গিনি, সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী মমিন, তোফাজ্জল সোহেল, রোটারিয়ান তবারক আলী লস্কুর, রোটারিয়ান মোঃ সিরাজুল ইসলাম, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মশিউর রহমান শামীম, যমুনা টিভি’র জেলা প্রতিনিধি প্রদীপ দাশ সাগর, ৭১টিভি’র জেলা প্রতিনিধি শাকিল চৌধুরী, হবিগঞ্জের বাণীর সম্পাদক জিয়া উদ্দিন দুলাল, ফজলুল করিম, অ্যাডভোকেট বিবি নিউটন, এনাম আহমেদ, টিপু চৌধুরী প্রমূখ। মতবিনিময় সভায় নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে খোয়াই নদীর বন্যা পরিস্থিতির হাত থেকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় ও বিভাগের মাধ্যমে করনীয় নির্ধারন পূর্বক অগ্রাধিকার ভিত্তিতে “হবিগঞ্জ শহর রক্ষা প্রকল্প” গ্রহন জরুরী।
বাল্লা থেকে কামড়াপুর ব্রিজ পর্যন্ত নদীর ভিতরের প্রশস্থতা নূন্যতম ২৫০ মিটার এবং নদীর উভয় পার্শ্বের বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের উপরের প্রশস্থতা ৩০ মিটার নির্ধারণ করে সম্পূর্ণ নতুন প্রকল্প গ্রহন করতে হবে।বাঁধের উচ্চতা বর্তমান বিপদসীমার উপরে ২৮০ সেন্টিমিটারকে বিপদসীমা ধরে এর তিন/চার ফুট উচু বাঁধ নির্মাণ করতে হবে। বাঁধের মোট ১৫৬ কিলোমিটার দৈর্ঘের মধ্যে ৮৬ কিলোমিটার বাংলাদেশ অংশে প্রয়োজনে ভূমি অধিগ্রহণের মাধ্যমে আঁকাবাঁকা গতিপথকে পরিবর্তন করে নদীর গতিপথ সোজা করা করতে হবে। বাঁধের স্থায়ীত্বে জন্য নদীর উভয় পার্শ্বের বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধের ভিতরের দিক মোটা জিআই তারের জাল দ্বারা রক্ষণ ব্যবস্থা নিশ্চিত করে পাথর ডাম্পিং করতে হবে।
পাথর ডাম্পিং এর নীচ সীমা থেকে নদীর অভ্যন্তরে ১০ ফুট করে ফুড প্লাইন নিধরাণ করতে হবে এবং নদীর তলদেশ থেকে শুকনো সেডিমেন্ট বা পলি মাটি অপসারণের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। পাহাড়ী ঢলে আত বালি ও পলি মাটি সরকারি ব্যবস্থাপনায় উজারার মাধ্যমে অপসারন করার পরামর্শ দেয়া হয়। এছাড়াও সভায় খোয়াই নদী রক্ষার ১২টি দাবি জানানো হয়।