প্রেস বিজ্ঞপ্তি : বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলী এমপি বলেছেন- ”সবার প্রচেষ্টায়, সবাইকে নিয়েই দেশের পর্যটন শিল্প এগিয়ে যাবে। পর্যটন শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে সর্বস্থরের জনগণকে এর সাথে সম্পৃক্ত করতে হবে। আমাদের যে সম্পদ আছে তাকে কাজে লাগিয়ে পর্যটনের সম্ভাবনাকে বাস্তব রূপ দিতে হবে।”
বিশ্ব পর্যটন দিবস-২০২০ উপলক্ষে আজ বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনলাইনে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
উল্লেখ্য- এবছর “গ্রামীণ উন্নয়নে পর্যটন” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আগামীকাল ২৭ সেপ্টেম্বর সারাদেশে বিশ্ব পর্যটন দিবস পালিত হবে। দিবসটি উদযাপনের জন্য বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড এবং বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন বিস্তারিত কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন- ”কোভিড-১৯ এর কারণে বন্ধ থাকা পর্যটন কেন্দ্রগুলো আস্তে আস্তে খুলতে শুরু করেছে। যেগুলো এখনো বন্ধ রয়েছে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ সাপেক্ষে সেগুলো আস্তে আস্তে খুলে দেয়া হবে। পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটক ও পর্যটনের সাথে জড়িত সকলকে স্বাস্থ্যবিধি অবশ্যই মেনে চলতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যটন শিল্পকে পরিচালনা করার জন্য বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড ইতোমধ্যে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর ( এস ও পি ) প্রণয়ন করেছে। এই এস.ও.পি অনুযায়ী স্থানীয় পর্যটন খাত পরিচালিত হচ্ছে কিনা তা তত্ত্বাবধানের জন্য জেলা প্রশাসনের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসনকে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের বিষয়টি কঠোরভাবে তত্ত্বাবধান করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও জনগণ যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যটন কেন্দ্রে গমন করেন সেই জন্য বিভিন্নভাবে জনসচেতনতা তৈরি করার জন্য কাজ চলছে।”
তিনি আরো বলেন- ”কোভিড-১৯ এর কারণে ক্ষতিগ্রস্ত শিল্পগুলোর জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে বিভিন্ন প্রণোদনা ঘোষণা দিয়েছেন। তার মধ্যে আমাদের পর্যটনশিল্পও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত পর্যটন শিল্পকে চাঙ্গা করতে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড পর্যটন অংশীজনদের সাথে আলোচনা করে ইতোমধ্যে একটি রিকভারি প্ল্যান তৈরি করেছে। বাংলাদেশের গ্রাম না দেখলে বাংলাদেশকে দেখা হবে না। বাংলাদেশের প্রকৃত সৌন্দর্য লুকিয়ে আছে আমাদের গ্রামগুলোতে। গ্রামীণ পর্যটনের বিকাশ গ্রামের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নের পাশাপাশি গ্রামীণ উন্নয়ন কর্মকান্ডকে ত্বরান্বিত করবে। গ্রামীণ জনসাধারণকে পর্যটন কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করতে ও তাদের মাঝে সচেতনতা তৈরির জন্য বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড কাজ করে চলছে। ভবিষ্যতে একাজের পরিধি আরও বৃদ্ধি করা হবে।”
সাংবাদিক সম্মেলনে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ মহিবুল হক বলেন- ”গ্রাম উন্নয়ন নিশ্চিত হলে পর্যটক নিশ্চিতভাবেই গ্রাম অঞ্চলে ভ্রমণ করতে যাবেন। পর্যটন কে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে দেশে পর্যটনবান্ধব সংস্কৃতি তৈরি ও লালন করতে হবে। এ সম্পর্কে জনগণ ও পর্যটন অংশীজনদের সচেতন করার জন্য আমরা কাজ করছি।”
সিনিয়র সচিব আরো বলেন ”বর্তমানে দেশে পূর্বের যেকোনো সময়ের তুলনায় উন্নত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত হয়েছে। পর্যটকদের নিরাপত্তা দেয়ার জন্য টুরিস্ট পুলিশ গঠন করার পর দেশের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে পর্যটকরা এখন অনেকটাই নিরাপদ। পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য টুরিস্ট পুলিশ নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। গ্রামীণ পর্যটন কেন্দ্রসমূহে যাতায়াত ব্যবস্থা সুগম করার জন্য রাস্তাঘাটের উন্নয়ন করতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সাথে আমাদের নিবিড় যোগাযোগ অক্ষুণ্ন রয়েছে। এছাড়াও সমন্বিতভাবে পর্যটন কর্মকান্ড পরিচালনার জন্য এর সাথে সম্পৃক্ত অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সাথে আমাদের নিয়মিত মতবিনিময় অব্যাহত রয়েছে।”
সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাবেদ আহমেদ, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান রাম চন্দ্র দাস ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ।