জনমত রিপোর্ট : নুসরাত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি অনুসন্ধান করছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) অরগানাইজড ক্রাইম ইউনিট। হত্যাকাণ্ডে কারা টাকা দিয়েছে, তা জানতে চেষ্টা করছেন কর্মকর্তারা।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিষয়টি নিশ্চিত করেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) অরগানাইজড ক্রাইম ইউনিরটের কর্মকর্তারা।
সিআইডি কর্মকর্তারা বলছেন, হত্যাকাণ্ডে অর্থ লেনদেন হয়েছে বলে যে অভিযোগ রয়েছে, সেই অর্থের উৎস খুঁজে বের করবে সিআইডি। আলোচিত এ মামলায় এ পর্যন্ত ১৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ও পিবিআই। এর মধ্যে চার জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, নুসরাত হত্যায় অর্থের জোগান দিয়েছিলেন স্থানীয় কয়েকজন।
প্রসঙ্গত, সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ এসএম সিরাজ-উদ-দৌলার বিরুদ্ধে ‘শ্লীলতাহানির’ অভিযোগ এনে চলতি বছরের মার্চে সোনাগাজী থানায় একটি মামলা করে নুসরাতের পরিবার। মামলা তুলে না নেয়ায় অধ্যক্ষের অনুসারীরা গত ৬ই এপ্রিল সকালে পরীক্ষা কেন্দ্রে নুসরাতের গায়ে পরিকল্পিত ভাবে আগুন লাগিয়ে দেয়।
অগ্নিদগ্ধ নুসরাতকে প্রথমে সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। তার শরীরের ৮০ শতাংশ পুড়ে যাওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সেদিনই তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। এরপর প্রধানমন্ত্রী উন্নত চিকিৎসার জন্য নুসরাতকে সিঙ্গাপুরে নেয়ার নির্দেশ দিলেও তার অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাকে সিঙ্গাপুর নেয়া সম্ভব হয়নি। ঢাকা মেডিক্যালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ এপ্রিল মারা যান নুসরাত।