জনমত রিপোর্ট : বিশ্বকাপ যতই ঘনিয়ে আসছে ততই শুরু হচ্ছে আরেকটি হিসেব গোনা- কে ফেভারিট? এই প্রশ্নে আপাতত কোনো ক্রিকেট পণ্ডিত বাংলাদেশের নাম রাখেননি। তবে কে বাংলাদেশকে ফেভারিট বললো আর কে বললো না-তা নিয়ে বিতর্কে যেতে রাজি নন তামিম ইকবাল। নিজের বিশ্বাসটা নিজের কাছেই তার। সেই বিশ্বাস নিয়েই তামিম বললেন- ‘দেখুন এই বিশ্বকাপে ১০টা দল খেলছে। কোনো দলই কিন্তু স্রেফ অংশগ্রহণ করার জন্যই খেলছে না সবাই যাচ্ছে জেতার জন্য। আমরাও যাচ্ছি জেতার জন্যই।’
জেতার বিশ্বাসটা যদি নিজের মধ্যেই না থাকে তবে জিতবো কেমন করে? তাই বাংলাদেশ দলকে নিয়ে অন্যরা কে কি হিসেব করলো সেটা গোনায় না ধরে নিজের আস্থা নিয়েই সামনে বাড়তে চান তামিম- ‘আমি যদি বলি যে শুধু অংশগ্রহণ করার জন্য যাচ্ছি তাহলে যাওয়ার কোনো মানেই হয় না। আমরা পারি বা না পারি, আমাদের বিশ্বাস করতে হবে যে আমরা জিততে পারি। এই বিশ্বাস নিয়েই আমাদের যেতে হবে।’
মঙ্গলবার নির্বাচকরা যখন বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করে সংবাদ সম্মেলন থেকে বেরিয়ে আসছিলেন তামিম ইকবাল তখন মিরপুরের সেন্টার উইকেটে ব্যাটিং অনুশীলনে ব্যস্ত। শেষের দিকে ধুমধাম কিছু ছক্কা হাঁকিয়ে বিশ্রাম নিতে ড্রেসিংরুমে ফিরলেন। বাউন্ডারি লাইনের কাছে এসে গ্লাভস-প্যাড খুলে রাখছিলেন।
-তামিম কংগ্রাচুলেসন!
নাটুকে ভঙ্গিতে চমকে উঠে তামিমের স্বস্তি- ‘দলে আছি তাহলে আমি!’ মুখে দুষ্টামির হাসি নিয়ে ড্রেসিংরুমের পথে হাঁটা দিলেন।
বুধবার আরেকবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন তামিম। এবার গল্পের সময়টা আরও বাড়লো।
-কেমন হলো বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দল?
এই প্রশ্নে নির্বাচকদের হয়েই ব্যাট করলেন তামিম- ‘ আমার মনে হয় যেই স্কোয়াডই দেয়া হোক না কেন, যেই খেলোয়াড়কে নেয়া হোক বা কেন, সবারই কিছু না কিছু যদি-কিন্তু থাকবেই। কিছু পছন্দ-অপছন্দ তো থাকবেই। এটাই নিয়ম। আমার মনে হয় এখন দলে কে থাকা উচিত ছিল বা কে থাকলে ভালো হতো, এই আলোচনা না করে যেই ১৫ জনকে নির্বাচিত করা হয়েছে তাদের পুরোপুরি সমর্থন করা। অমুকের জায়গায় অমুক থাকলো ভালো হতো, এমনসব প্রশ্ন এখন তুললে, যারা সুযোগ পেয়েছে তারা মন ছোট করবে। আমরা চার বছর অপেক্ষা করেছি বিশ্বকাপের জন্য। এখন আমাদের সবার উচিত হবে পুরো দলের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করা।’
২০০৭ সাল থেকে বিশ্বকাপ খেলছেন তামিম ইকবাল। এটি হতে যাচ্ছে তার চতুর্থ বিশ্বকাপ। ২০০৭ সালের বিশ্বকাপের মাঠেই তামিম ইকবালকে প্রথম চিনেছিল ক্রিকেট বিশ্ব। ভারতের বিরুদ্ধে তার সেই মারকুটো হাফসেঞ্চুরিতেই ঘোষিত হয়েছিলো নতুন এক তারকার জন্ম কাহিনী। সেদিনের তরুণ তামিম ইকবাল এখন পরিণত এক ক্রিকেটার। সেই দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েই জানালেন-‘আমি কখনো টার্গেট সেট করতে পছন্দ করি না। আমার লক্ষ্য একটাই দলের চাহিদা মেটানো। দল আমার কাছ থেকে যা চায় সেটা যেন পুরো করতে পারি।’
তামিম আপনার কাছ থেকে দল একটা জিনিষই চায়-জয়!