জনমত রিপোর্ট : আম কাঁঠাল পাকার সময় গ্রীষ্মকাল। যতই গরম থাকুন না কেন মজাদার রঙিন ফল খাওয়ার জন্য এই সময়টির কোনো তুলনা হয় না। যত সুস্বাদু ফলের দেখা সবই পাওয়া যায় গরমকালে। তবে স্বাদের দিক দিয়ে বিচার করলে যে তিনটি গ্রীষ্মের ফল সবচেয়ে এগিয়ে থাকে, সেগুলো হলো আম, লিচু আর কাঁঠাল।
কাঁঠালবাড়ী-শিমুলিয়া রুটে দুই ঘণ্টা পর ফেরি চলাচল শুরু
কিন্তু কাঁঠালকে অবহেলা করে আম, লিচুই যেন মানুষ বেশি খেতে পছন্দ করে। তাই এই ফলের গুণাগুণ সম্পর্কে কেউ তেমন জানেনও না। তাই জেনে নেয়া যাক কাঁঠালে কী কী গুণ রয়েছে।
কাঁঠাল খেতে মিষ্টি। কিন্তু এই ফল খেয়ে ডায়াবেটিস বেড়ে যাওয়ার তেমন আশঙ্কা নেই। বরং শরীরে শক্তি জোগাতে এর জুড়ি নেই।
কাঁঠাল ফাইবার-সমৃদ্ধ ফল হওয়ায় হজমশক্তি বাড়ায় এবং পেট পরিষ্কার রাখে।
এই ফলে রয়েছে সোডিয়াম এবং পটাসিয়াম যা শরীরের ইলেকট্রোলাইট ব্যালেন্সকে ঠিক রাখে। এর ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে এবং হার্টও ভাল থাকে।
এই ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমান ভিটামিন এ এবং বিটা ক্যারোটিন। চোখ ভাল রাখতে ভিটামিন এ যে অপরিহার্য।
কাঁঠালে অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট থাকার ফলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে ও বলিরেখাও কমে।
কাঁঠালে রয়েছে ভিটামিন বি৬ এবং প্রচুর পরিমান ক্যালোরি। তবে এতে কোনো রকম কোলেস্টেরল নেই।
কাঁঠালে আয়রন থাকে যা রক্তে লোহিতকণিকার পরিমান বাড়ায়। রক্তাল্পতায় যারা ভুগছেন তাদের কাঁঠাল খাওয়া উচিত।
এই ফল নিয়মিত খেলে পাইলস এবং কোলন ক্যান্সারের আশঙ্কা কমে। কাঁঠালে ক্যালসিয়াম থাকে যা হাড় শক্ত রাখে।
উচ্চমানের অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ ফল কাঁঠাল। এতে ভিটামিন সি রয়েছে প্রচুর পরিমানে থাকে। তাই কাঁঠাল খেলে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। এমনকি ক্যান্সার এবং টিউমারের বিরুদ্ধেও শরীরে প্রতিরোধ গড়ে ওঠে।